শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৫৫ পূর্বাহ্ন

বাসন্তীর জাল কাকে পরাবে ওরা? সালাম মাহমুদ

বাসন্তীর জাল কাকে পরাবে ওরা? সালাম মাহমুদ

বাসন্তীর জাল কাকে পরাবে ওরা
সালাম মাহামুদ

কুড়িগ্রামে জাল পরানো বাসন্তীর কথা শুনলে বা জাল জড়ানো বাসন্তীর ছবি দেখলে বংশপরম্পরায় অনেকেরই মস্তকে আগুন জ্বলে। ১৯৭৪ সালের এক প্রতিবন্ধী হিন্দু যুবতী কে জাল পরিয়ে ছবি তোলার মধ্যে কি এমন আছে!
আছে- তোদের পূর্ব পুরুষের বাংলাদেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র।
আছে- স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশকে আবার পাকিস্তান বানানোর ষড়যন্ত্র।
আছে- বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য নেতৃত্বে যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রচেষ্টাকে স্তব্ধ করে দেওয়া।
আছে – তৎকালীন বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার পর্যায়ে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী যে সব জনপ্রতিনিধি ছিলো তাদের নতুনভাবে জাগ্রত করে তোলা। দেশে খাদ্যাভাব সৃষ্টির সুক্ষ্ম ষড়যন্ত্রের প্রক্রিয়াকে উসকে দেওয়া।
আছে- বঙ্গবন্ধু তথা আওয়ামী লীগ সরকারকে আন্তর্জাতিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করে বঙ্গবন্ধুর সরকারের পতন ঘটানোর ষড়যন্ত্র।
১৯৭৪ সাল চলে গেছে সেই কবে। এই ঘটনার স্বাক্ষী বা ভুক্তভোগী জনসাধারণের সংখ্যা ও এখন কমে ১৫/২০% এ দাঁড়িয়েছে। তাঁর অধিকাংশ এখন অবসরে।
দেশের বর্তমান সময়ের জনসংখ্যার বাকী ৮০/৮৫% মনুষ এখন আর বাসন্তীকে চেনে না, জানেনা।
আওয়ামী লীগ সরকার তথা জননেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এখন সেই একই ষড়যন্ত্র চলছে। কাল ভেদে ষড়যন্ত্রের স্বরূপটা ভিন্ন কিন্তু ষড়যন্ত্রের হোতারা কিন্তু একই।
১৯৭৪ সালে যেমন ষড়যন্ত্র কারীরা ছিলেন ঘরে বাইর- ২০২৩ সালেও ষড়যন্ত্র কারীরা আছেন ঘরে বাইরে। তাই বাসন্তীর কথা, বাসন্তীকে জাল পরানো ইতিবৃত্ত শুনলেই তাদের পিলে চমকে উঠে।
“মনোলোক” চলচ্চিত্র আঁটকে যায়। ফিল্ম সেন্সর বোর্ডের প্রিভিউ তালিকায় স্থান না পেয়ে মনোলোক চলচ্চিত্র পড়ে থাকে সরকারী কোনো কর্তার ড্রয়ারের চিপায় বা ডাষ্টবিনের পাসে থাকা কোনো ভাঙ্গাড়ি ভাগাড়ে।
মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সরকার, শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ তাদের পূর্ব পুরুষের রক্তের শত্রু।
“মনোলোক” চলচ্চিত্র ও তাদের নৈতিক শত্রু। যুদ্ধকালীন শত্রু পক্ষের সমরাস্ত্রে একটি আলপিনও যুক্ত হতে দিতে চাইবে না বিরোধী পক্ষ এটাই স্বাভাবিক।
যদিও “মনোলোক” চলচ্চিত্র একটি সামান্য বিষয়- কিন্তু একটা ভাতে টিপ দিলেই বোঝা যায় হাঁড়ির ভাতের কি অবস্থা।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সমীপে আবেদন মনোলোক চলচ্চিত্রটি সেন্সর বোর্ডে আঁটকে থাক। স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির অগ্রযাত্রা আর আস্ফালন যেনো স্তব্ধ হয় সেই বিষয়ে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

(ছবিতে মনোলক চলচ্চিত্রে বাসন্তী চরিত্রের অভিনেত্রী সংগীতা চৌধুরী ও নিপুন আক্তার)

লেখক- সাংবাদিক, কলামিস্ট, সভাপতি, টেলিভিশন রিপোর্টার্স ইউনিটি অব বাংলাদেশ (ট্রাব)
মোবাইল: ০১৭৫০৬১৫৯৪১

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




themesbazar_brekingnews1*5k
© All rights reserved © 2020
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD